দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও যদি আল্লাহর কালামের সাথে আপনার কোন সম্পর্ক না থাকে তাহলে নিজের উপর কান্না করুন।
অনেকদিন যাবত যদি আল্লাহর কুর'আন থেকে কয়েকটা আয়াত তিলাওয়াত করা ও আপনার পক্ষে সম্ভব না হয় তাহলে নিজের জীবন নিয়ে, জীবনের উদ্দেশ্য নিয়ে আরেকবার আপনার ভাবার সময় এসেছে!
আলেমগন বলে থাকেন, আল্লাহ যখন কারো উপর অসন্তোষ, নাখোশ হন তখন তার খাওয়া-দাওয়া, নিশ্বাস নেওয়া কিংবা চলাফেরা বন্ধ করে দেন না বরং আল্লাহ সিজদাহ করার অধিকার ছিনিয়ে নেন। কুর'আন তিলাওয়াত, যিকির সহ অন্যান্য নেক আমল করার ইচ্ছাশক্তি কেড়ে নেন। আল্লাহ তাকে এমন সব কাজের মধ্যে ঘোরপ্যাঁচ খাওয়ান যেগুলোর মধ্যে আল্লাহর অসন্তুষ্টি রয়েছে।
ইবনুল কাইয়্যিম রাহিমাহুল্লার খুব সুন্দর একইসাথে বেশ মারাত্নক একটা উক্তি রয়েছেঃ
"যদি কেউ জানতে চায় যে আল্লাহর চোখে তার মর্যাদা কেমন, সে যেন দেখে আল্লাহ তাকে কী কী কাজে ব্যস্ত করে রাখেন।"
তিনি খুব সুন্দরভাবে বলছেন, ''একটিবার তাকিয়ে দেখুন আল্লাহ আপনাকে কোন অবস্থায় রেখেছেন? কিসে ব্যস্ত রেখেছেন! তাহলে বুঝতে পারবেন আল্লাহর নিকট আপনার মর্যাদা কেমন।''
আপনার যদি আল্লাহর যিকরে অন্তর প্রশান্ত না হয়, কুর'আনে হৃদয় বিগলিত না হয়, সিজদায় যদি আপনি প্রশান্তি না পান- তাহলে নিজের উপর কান্না করুন। আল্লাহর কাছে বার বার ক্ষমা চান। আল্লাহকে বলুন পূর্বপশ্চিমের দূরত্ব যেমন আপনার এবং গুনাহ মধ্যে ও যেন তেমন দূরত্বের সৃষ্টি করে দেয়।
মনে রাখবেন আপনাকে পৃথিবীতে দৌড়াতেই হবে। হোক সেটা দুনিয়ায় জন্য কিংবা আল্লাহর জন্য। আপনি আল্লাহর ইবাদত করুন কিংবা শয়তানের।
পৃথিবী আপনাকে ক্লান্ত করে ছাড়বেই। সিদ্ধান্ত আপনার আপনি কিসে ক্লান্ত হবেন?৷
ইবনুল কাইয়্যিম রাহিমাহুল্লাহ বলেন-
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url